রহমত নিউজ 18 September, 2025 11:17 AM
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে সর্বদলীয় ইসলামী শিক্ষা রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সমাজে দুর্নীতি, অবিচার, মাদক ও নৈতিক অবক্ষয় দিন দিন বাড়ছে। এর মূল কারণ ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতি। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক থাকলে শিক্ষার্থীরা সৎ, আল্লাহভীরু ও চরিত্রবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা এনামুল হক মুসা ও মাওলানা আবু জাফর কাসেমী প্রমুখ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “গানের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সরকার কী করতে চায়? তারা কি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সৎ নাগরিকের বদলে বিপথগামী করতে চায়? গানের শিক্ষক সাময়িক আনন্দ দিতে পারেন, কিন্তু চরিত্র গড়তে পারেন না। অথচ ধর্মীয় শিক্ষক শিক্ষার্থীকে জ্ঞানী করার পাশাপাশি তাকওয়াবান ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা ধার্মিক হয়ে গড়ে উঠলে তাদের হৃদয়ে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এরপর অন্যান্য শিক্ষকরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য ও কলা শেখাতে পারবেন। এভাবেই প্রকৃত সুনাগরিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও সাংবাদিক তৈরি সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া চালু, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস ও আলিয়া মাদরাসার ফাজিল পাশকারীদের নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ সংশোধনের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য তাদের নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখার আহ্বান জানানো হয়।